Sunday 11 January 2015

উদাহরন

কিছু উদাহরন দেওয়া হল প্র্যাকটিস এর জন্য । এগুলা অবশ্যই না দেখে করার চেষ্টা করবে । নিচে প্রশ্ন দেওয়া আছে সেগুলা পড়ে প্রোগ্রাম লিখা শুরু করবে এবং যদি না পার তাহলে প্রশ্নের উপরে ক্লিক করলেই কোড পেয়ে যাবে ।

3. C Program to Add Two Integers Entered by User

ডাটা ইনপুট এবং আউটপুট

আমরা নিশ্চই এখন কিভাবে কোড লিখতে হয় রান করতে হয় এবং এর কিছু ফাঙ্কশন বুঝে গিয়েছি । অনেকের কাছে মনে হতে পারে যে আমরা এই যে কোড লিখতেছি , Hello world, hi, তারপর কিছু ম্যাথ এর সমাধান , এগুলা দিয়ে কি সফটওয়্যার বানানো যাবে? অনেক বোড়িং লাগতে পারে । তাদের বলি যে, প্রথমেই আমরা Apple বানান পড়তে পারিনি এর জন্য আমাদের শিখতে হয়েছে A,B,C,D .. তেমন সি প্রোগ্রামিং ও একই । সি হল বেসিক সরূপ এর ভিত্তি যদি কেউ ঠিকভাবে না গড়তে পারে তাহলে পরবর্তি ধাপে অনেক ভুগতে হবে ।

এখন আমরা শিখব ম্যাথ দিয়ে কিছু সমাধান এবং ডাটা ইনপুট এবং আউটপুট । প্রথমেই একটা কোড লিখে ফেলি, 

#include <stdio.h>

int main()
{

     int a;
     int b;
     int sum;

    a = 4;
    b = 3;

    sum = a+b;

    printf("Sum : " sum);

    return 0;
}

আউটপুটঃ

7

উপরের কোডের int a; int b; এই লাইন দিয়ে ৩ টা ইন্টেজার ভেরিয়েবল নিলাম অর্থাৎ int দ্বারা বুঝালাম ইন্টেজার এবং a এবং b দ্বারা বুঝালাম a এবং b ভেরিয়েবলের ভ্যালু ইন্টেজার সংখ্যা হবে  । এর পরে int sum অর্থাৎ sum টা নিয়েছি এর আউটপুটের জন্য একটা সাহায্যকারী ভেরিয়েবল রুপে এবং এর ভেলুও হবে ইন্টেজার সংখ্যা । এর পর a = 4; এবং b = 3; এখানে a এবং b এর একটা মান বসালাম । আর তারপরের লাইন sum দিয়ে a এবং b যোগ করে দিলাম এবং sum এর ভিতরে ভ্যালু স্টোর করে রাখলাম । এখন তো যোগ করা হল কিন্তু এই যোগফলকে লাইনে প্রিন্ট করতে printf ফাঙ্কশনের দরকার তাই printf("Sum : " sum); দিয়ে লাইন প্রিন্ট করলাম । এখন প্রশ্ন জাগতে পারে এই লাইনের শেষে আমরা আবার sum লিখলাম কেন ? যদি শুধু Sum: লিখলে ইনভার্টেড কমা দিয়ে শেষ করে দেই তাহলে  শুধু Sum লিখা আসবে । তাই sum এর ভিতরে যে ভ্যালু স্টোর করে রেখেছি তা দেখানোর জন্য ইনভার্টেট কমা এর বাইরে এভাবে লিখলাম । এখন আবার প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ইনভার্টেট কমা এর ভিতরে যদি লিখি তাহলে কি হবে ? হুম করে দেখ তাহলে নিজেই দেখ কি হবে এবং এই ভুল করা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে । ইনভার্টেট কমা এর মধ্যে যা ইচ্ছা তাই লিখা যাবে কিন্ত ভ্যালু দেখানোর জন্য লিখতে হবে সেই সেই ভ্যালু এর স্টোর আইটেমটা । আরেকটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, int a, int b, int sum অর্থাৎ ভেরিয়েবলটা ছোটো হাতের কিংবা বড় হাতের লিখিনা কেন তা অবশ্যই পরবর্তিতে লিখার সময় ওই হাতের অক্ষরই লিখতে হবে । যেমন আমি sum পুরোটা লিখেছি ছোট হাতের অক্ষরে এবং পরে sum লিখার সময় অর্থাৎ sum = a+b লিখার সময় sum ছোট হাতের অক্ষরে লিখেছি । এবং a এবং b ভেরিয়েবল নেওয়ার সময় ছোট হাতের অক্ষরে লিখেছি বলে পরেও ছোট হাতের অক্ষরে লিখেছি এবং যদি ভেরিয়েবল নেওয়ার সময় বড় হাতের অক্ষরে নিতাম তাহলে পরেও লিখার সময় বড় হাতের লিখতে হবে না হলে কোড রান করবে না । 

উপরের কোডটা আমি বুঝানোর জন্য বড় করে লিখেছি এই কোডটাকে সাধারনত প্রোগ্রামাররা ছোট করে লিখে তা না হলে সময় নষ্ট হবে । কোডটাকে ছোট করার জন্য কিছু বিকল্প পদ্ধতি নিচে দিয়ে দিচ্ছি, কোড করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোড কোন দিকে ছোট হল যদি এই ওয়েবসাইটের আগের কথাগুলো ভালোভাবে বুঝে থাকেন

বিকপ্ল পদ্ধতি ০১ঃ

#include <stdio.h>

void main()
{

     int a;
     int b;
     int sum;

    a = 4;
    b = 3;

    sum = a+b;

    printf("Sum : " sum);

}

বিকপ্ল পদ্ধতি ০২ঃ

#include <stdio.h>

void main()
{

     int a, b, sum;

    a = 4;
    b = 3;

    sum = a+b;

    printf("Sum : " sum);

}

বিকপ্ল পদ্ধতি ০৩ঃ

#include <stdio.h>

void main()
{

     int a = 4, b = 5, sum;

    sum = a+b;

    printf("Sum : " sum);

}

বিকপ্ল পদ্ধতি ০৪ঃ

#include <stdio.h>

void main()
{

     int a = 4, b = 5,;

    printf("Sum : " a+b);

}

ফ্লোট এবং ডাবল

এখন উপরে কোডকে দশমিকে প্রকাশ করতে চাই তাই এর জন্য আমাদের ফ্লোট ভেরিয়েবল নিতে হবে । নিচের উদাহরন থেকে বিষয়টা বুঝা যাবে ।

#include <stdio.h>

void main()
{

     float a = 15.6, b = 9.7, devide;

    devide = a/b;

    printf("Devide : " devide);

}

রান করে দেখ এর আউটপুট হবে দশমিক সংখ্যা । এবং আউটপুট হবে ১.৬০৮২৪৭ । কিন্তু আমরা টাকার হিসাব করতে তো এত বড় সংখ্যার দরকার নেই তাই এই এত বড় সংখ্যাকে ছোট করার জন্য নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে 

#include <stdio.h>

void main()
{

    float a = 15.6, b = 9.7, devide;

    devide = a/b;

    printf("Devide : %.2f ", devide);

}

তাহলে আউটপুট সংক্ষিপ্ত হয়ে যাবে । অর্থাৎ printf এর ভিতরে এবং ইনভার্টেট কমা এর ভিতরে %.2f লিখতে হবে ।

এখন দেখব ইন্টেজার সংখ্যা নিয়ে ফ্লোট সংখ্যায় ভাগ । 

#include <stdio.h>

void main()
{

    int a = 15, b = 9;
    float devide;
    float devide = a/b;

    printf("Devide : %.2f ", devide);

}

কোনো ফ্লোট সংখ্যাকে ইন্টেজার সংখ্যায় প্রিন্ট করার নিয়ম

#include <stdio.h>

void main()
{

    float a = 15.6, b = 9.7;
    int devide;
    devide = a/b;

    printf("Devide : ", devide);

}


Void এর ব্যবহার

প্রথমে একটা প্রোগ্রাম লিখি যেমন,

#include <stdio.h>

int main()
{
      printf("Hello world!")

      return 0;
}

আউটপুটঃ

 Hello World!

আমরা প্রথম অধ্যায়ে জেনেছিলাম যে, এই কোডের কোনো return নেই তাই আমরা return এর পরে 0 দিয়ে বুঝাই যে, এর return শুন্য অথবা নেই । ফাঙ্কশন অধ্যায়ের আগে return এর কোনো কাজ নেই তাই ফাঙ্কশন অধ্যায় বুঝার আগে প্রতিটা লাইনের শেষে return 0 লিখতে হবে । প্রতিবার লিখতে অনেকের কাছে ঝামেলা লাগতে পারে তাই কোড লিখার বিকল্প পদ্ধতি হল void এর ব্যবহার । void লিখলে আর return 0 লিখতে হবে না । একটা কোড লিখলেই তা বুঝা যাবে ।

#include <stdio.h>

void main()
{
      printf("Hello world!")
}


আউটপুটঃ

 Hello World!

কোড যত ছোট হবে তত ভালো । তাই কোড করার আগে বুঝে তারপর কোড করা শুরু করতে হবে । 

কমেন্ট এবং স্ক্যাপ

এখন আমরা দেখব লাইনে কিভাবে কমেন্ট এবং স্ক্যাপ করতে হইয় । প্রথমে আমরা যেকোনো একটা প্রোগ্রাম লিখি,

#include <stdio.h>

int main()
{
      printf("Hello World!"); //To print Hello World
      printf("Hi, What are you doing?");
     //printf("Hello Rohit, How are you");
      return 0;
}

উপরের কোডে printf("Hello World!"); //To print Hello World   লাইনে //To print Hello World   অংশের শেষে ২ টা // চিহ্ন দেওয়া আছে , এর মানে এর পরে যা লিখবে সেটা হবে সেই লাইনের কমেন্ট আর ঠিক আর ৩য় লাইনে printf  এর বাম পাশে // চিহ্ন দেওয়া আছে আর সেটা হল এই লাইনটাকে স্ক্যাপ করবে । অর্থাৎ উপরের কোডের আউটপুট আসবে

Hello World!
Hi, What are you doing?

এখন দেখা গেল যে ৩য় লাইন টা আর আসল না , অর্থাৎ ৩ইয় লাইন টা স্ক্যাপ করে গেল ।

লাইনে কমেন্ট এবং স্ক্যাপ করার সুবিধা:

এখন আমরা বুঝার ক্ষেত্রে ছোট কোড লিখতেছি কিন্তু ভবিষ্যতে লিখতে হবে ২০০, ৩০০, ৪০০ এবং তারো অনেক বেশী লাইনের কোড আর কোনো একটা কিছু খুজতে গেলে পুরো লাইন পড়তে হবে এবং পুরোটা ভালো করে বুঝতে হবে তারপর সঠিকটা সনাক্ত করতে পারবে, এতে প্রচুর সময় লেগে যাবে । তাই লাইনের শেষে কমেন্ট করে দিবে বুঝতে অসুবিধা হবে না এবং খুজতে সুবিধা হবে । এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে লাইনের শেষে কি কমেন্ট করব ? লাইনের শেষে ওটাই কমেন্ট করবেন যেটা ওই লাইনের কাজ । যেমন, আমি লিখেছি  //To print Hello World   এর দ্বারা আমি বুঝিয়েছি যে, Hello World প্রিন্ট করবে এই লাইন টা ।

আর স্ক্যাপ দেওয়ার সুবিধা হল, মনে করেন আপনি একটা কোড লিখলেন, কোড এর একটা লাইন আপনি এই মুহুর্তে চাচ্ছেন না আবার চাচ্চেন ও তাই লাইনটাকে স্ক্যপ করে দিলে কম্পাইলার ওই লাইনটাকে বিল্ড করে রান করবে না । শুধু মাত্র ওই লাইনটাকে । আর বাকি সব ঠিক থাকবে ওই লাইনের আগে এবং পরে সব কিছুই ঠিক থাকবে । আর স্ক্যাপ দেওয়ার আরেকটা সুবিধা হল যে, লাইনটা কষ্ট করে ডিলেট করতে হল না আর লাইনটা পরে যেন কাজে লাগে তাই লাইনটা আগের মত করেই রইল :)


এখন আমরা দেখব কিভাবে ২ বা তার অধিক লাইনকে একবারে স্ক্যাপ করব

উপরের কোড়টা আবার আমরা লিখি,

#include <stdio.h>

int main()
{
      printf("Hello World!"); //To print Hello World
      printf("Hi, What are you doing?");
      printf("Hello Rohit, How are you?");
      printf("Are you sick?");
      return 0;
}

এটার আউটপুট হবে 

Hello World!
Hi, What are you doing?
Hello Rohit, How are you?
Are you sick?

এই আউটপুটে লাষ্টের ৩ টা লাইন আমরা স্ক্যাপ করব তাহলে কি আমরা প্রতি লাইনের শেষে // চিহ্ন দিয়ে স্ক্যাপ করব ? না, তাহলে আমাদের সময় লস হবে । কারন এখানে আমি মাত্র ৩ টা লাইন দেখিয়েছি কিন্তু আমাদের আরো অনেক বেশী লাইন স্ক্যাপ করতে হতে পারে ভবিষ্যতে । অধিক লাইন একবার স্ক্যাপ করতে যে লাইন থেকে শুরু হবে সেই লাইনের আগে /* চিহ্ন এবং যে লাইন পর্যন্ত স্ক্যাপ হবে সেই লাইনের শেষে */ চিহ্ন দিয়ে শেষ করতে হবে, যেমন।

#include <stdio.h>

int main()
{
      printf("Hello World!"); //To print Hello World
/*     
      printf("Hi, What are you doing?");
      printf("Hello Rohit, How are you?");
      printf("Are you sick?");
*/
      return 0;
}

তাহলে আউটপুট আসবে

Hello World!


আর বাকি লাইন গুলো স্ক্যাপ করে গেল । 

Tuesday 6 January 2015

প্রথম প্রোগ্রাম

বিভিন্ন প্রোগ্রামাররা প্রোগ্রাম লিখতে শুরুর করে Hello World!  নামক প্রোগ্রাম দিয়ে । এখন আমরা শুরু করতে যাচ্ছি আমাদের প্রথম প্রোগ্রাম,
প্রথমে আপনার পিসি থেকে ইন্সটলকৃত CodeBlocks সফটওয়্যার Open করুন , তারপর নতুন প্রোজেক্ট ফাইল তৈরি করুন । প্রোজেক্ট ফাইল করার জন্য আপনাকে বাম পাসের উপরের দিকের File ক্লিক করতে হবে
 তারপর New থেকে সরাসরি Project এ ক্লিক করতে হবে
 তারপর console application এ ক্লিক করতে হবে
 তারপর C সিলেক্ট করতে হবে
তারপর আপনার কাঙ্কখিত ফোল্ডার সিলেক্ট করুন অর্থাত আপনি যে ফোল্ডারে রাখতে চান প্রোজেক্ট গুলা
 তারপর প্রোজেক্ট এর নাম লিখুন ১ম বক্সে
 আমি আমার এখানে নাম দিয়েছি Hello World
তারপর দেখবেন নতুন একটা পেইজ ওপেন হয়েছে এবং বাম পাসে আপনার প্রোজেক্ট এর নাম
প্রোজেক্ট এর sources এর উপর ক্লিক করলে দেখবেন main.c নামের একটা ফাইল বের হয়েছে । আর এটাই হল প্রোজেক্ট এর মুল ফাইল । ডাবল ক্লিক করে ওপেন করুন
 এবং দেখবেন কিছু লিখা বের হয়েছে । সব লেখা ডিলিট করে দিন ।

তারপর ওখানে ঠিক নিচের মত করে লিখুন । নিচেরগুলাকেই কোড বলা হয় । প্রথমে বুঝতে অসুবিধা হবে লিখতে গেলে । মানে কিছুই বুঝবেন না , কোনো সমস্যা নেই আমি আছি, আমি আপনাকে সব বুঝাতে চেষ্টা করব :) এখন পড়ে পড়ে সব লিখুন



#include <stdio.h>

int main()

{
    printf("Hello world!\n");
    return 0;
}





 এখন তো লিখে ফেললেন আপনার প্রথম কোড, এবার রান করে দেখতে হবেনা কোডে কি লিখা আসল ? এর জন্য উপরের দিকে লিখা দেখবেন Build ওখানে মাউসের কার্স রাখলেই দেখবেন আরেকটা Build নামের ফাঙ্কশন এসেছে ওখানে ক্লিক করুন
 তাহলে দেখবেন নিচের দিকে "Process terminated with status 0 (0 minute(s), 0 second(s))
0 error(s), 0 warning(s) (0 minute(s), 0 second(s))" এমন কিছু লিখা আসছে । দেখবেন 0 error মানে কোনো error নেই , আর যদি কোনো error থাকে তাহলে কোড RUN হবে না ।

তারপর আবার Build থেকে RUN নামের অপশনে ক্লিক করে আপনার প্রথম প্রোগ্রাম রান করুন এবং দেখেন কি আসে :p
 এবার আসল Hello World! লিখা ।
এখন প্রশ্ন অবশ্যই জাগবে যে রান তো হল কিন্তু কিছু তো বুঝলাম না  হুম এখন আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি যে কিভাবে কি হল । এখন প্রোগ্রামটা আবার দেখেন যে কি লিখা আছে সেখানে,

#include <stdio.h>

int main()

{
    printf("Hello world!\n");
    return 0;
}

কোডের প্রথম লাইন #include <stdio.h> । আগেই বলে রাখি কোড বুঝতে গেলে আপনি সর্বপ্রথম যে কাজ করবেন তা হল যেটি করছেন এবং যেটি বুঝার চেষ্টা করছেন তার বাংলা বুঝে নেওয়া তাহলে কোড বুঝা বেশী সহজ হবে । এখানে যে শব্দ ব্যবহার হয়েছে সেটি হল include এবং এর অর্থ অন্তর্ভুক্ত করা । অর্থাত এখানে কিছু অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে এবং আমরা অন্তর্ভুক্ত করেছি হল stdio.h ফাইল । যেকোনো ফাইল এর পরে .h থাকা মানে সেটি হ্যাডার ফাইল আর .c মানে সেটি সি ফাইল ।

হ্যাডার ফাইল কি ?

কম্পিউটার আসলে কিছু করতে পারেনা যতক্ষন পর্যন্ত আপনি কম্পিউটারকে নির্দেশনা দেন । জাফর ইকবাল স্যার বলেছিলেন একবার, আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করি না  প্রযুক্তি আমাদের ব্যবহার করে । এই কোডের দেখবেন printf, return 0 এবং পরবর্তিতে আরো অনেক ফাঙ্কশন লিখা থাকবে আর এই ফাঙ্কশন গুলাই কাজ করে আপনার প্রোগ্রাম রান করে । অর্থাৎ stdio.h ফাইলে বলা আছে যে কোন ফাঙ্কশনের কি কাজ এবং সেই ফাঙ্কশন কাজ করে কি রকম আউটপুট দিবে ।

তারপরে একটা লাইন স্পেস আর এটি সৌন্দর্যের জন্য দিয়েছি কারন সব লাইন এক সাথে হয়ে গেলে দেখতে খারাপ দেখা যাবে সাথে বুঝতে এবং কিছু খুজতে অসুবিধা হবে ।

তারপর দেওয়া আছে int main() এটি হল মুল বডি আর এই বডি এর শুরু করা হয়েছে Second Bracket দিয়ে এবং শেষ করা হয়েছে Second Bracket দিয়ে । অর্থাৎ ২ Second Bracket এর মাঝখানে যা থাকবে তা প্রোগামটা কি করবে তা লিখা থাকবে ।

তারপর হল printf("Hello world!\n");
printf দ্বারা কোনো কিছু প্রিন্ট করা বুঝায় । অর্থাৎ কোড় রান করলে যে কালো স্ক্রিন দেখায় সেটি হল Console আর তার উপরে যে লিখা আসে Hello World! এই লিখাটা আসে printf ফাঙ্কশনের জন্য । printf লিখার পর First Bracket দিতে হবে এবং সাথে অবশ্যই ইনভার্টেট কমা দিতে হবে এবং সেই ইনভার্টেট কমা এর মাঝখানে লিখতে হবে আপনি যা প্রিন্ট করতে চান । আর Hello World এর পর \n দেওয়া । এর অর্থ Hello World পর্যন্ত লাইন রেখে নতুন এক লাইনে যাওয়া । এই কোড দেখে বুঝবেন না সহজে নতুন লাইনের বিষয়টা । পরে আরো কোড দিব যেগুলা করলে আপনি বুঝতে পারবেন নতুন লাইনের কাজ । এবং তারপর First Bracket শেষ হওয়ার পর দেওয়া আছে ; অর্থাৎ সেমিকোলন । আর এর কাজ হল এই লাইন এখানেই শেষ তা বুঝানো ।

তারপর  return 0; অর্থাৎ এই ফাঙ্কশনের কোনো return নেই । return ফাঙ্কশনটা এখন বুঝবেন না । "Function" নামের একটি চ্যাপ্টার আছে সেখানে আলোচনা করব । এখন আপনার কাজ শুধু মুখস্তের উপরে লিখে যাওয়া return 0;
তারপর Second Bracket Close করে কোড শেষ করা হয়েছে । 

কি ওয়ার্ড , আইডেন্টিফিয়ার এবং ভেরিয়েবল

কিওয়ার্ড

কিওয়ার্ড হল একপ্রকার মুলশব্দ যা প্রোগ্রামিং করতে ব্যাবহার করতে হয় এবং যার অর্থ ব্যাবহারকারি দ্বারা পরিবর্তন করা যায় না । যেমন,
int x;
এখানে int হল কিওয়ার্ড আর তা দিয়ে x কে ইন্টেজার বুঝানো হয়েছে ।

বিভিন্ন রকম কিওয়ার্ড
 
Keywords in C Language
autodoubleintstruct
breakelselongswitch
caseenumregister typedef
charexternreturnunion
continueforsignedvoid
doifstatic while
defaultgotosizeofvolatile
constfloatshortunsigned


কিছু কিওয়ার্ড এর পরিচয়

int : এই কিওয়ার্ড দ্বারা ইন্টেজার বা পূর্ণসংখ্যা বুঝায় । যেমনঃ 0,1,2,3,4
float: দশমিক সংখ্যাকে বুঝায় । যেমন, 2.35, 6.35
double: এটার দ্বারা আরো বড় সংখ্যাকে বুঝায় । যেমন, 1.23546586345


আইডেন্টিফিয়ার

উপরের একটা উদাহরন দেওয়া হয়েছে int x এটার X হল আইয়াডেন্টিফিয়ার । এর কাজ ফাংশঙ্কে আইডেন্টিফাই করা ।

আইডেন্টিফিয়ার লিখার নিয়ম
১) যেকোনো বড় হাতের অথবা ছোট হাতের ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করা যাবে । যেমন, Taka, TAKA, TaKa, taka, takA
২) নাম্বার ব্যাবহার করতে চাইলে তা যেকোনো ইংরেজী শব্দের পরে লিখতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে, নাম্বার ব্যাবহার করতে চাইলে কখনোই ইংরেজী শব্দের আগে লিখা যাবে না । যেমন,
সঠিক - Taka2
ভুল - 2Taka
৩) ২ শব্দের কোনো আইডেন্টিফিয়ার লিখতে চাইলে অবশ্যই দুই শব্দের মাঝখানে UnderScore ( _ ) চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে । যেমন, Bank_load
৪) আইডেন্টিফিয়ারের কোনো নিদিষ্ট লেন্থ নেই, ইচ্ছা মত করে বড় অথবা ছোট করে লিখা যায় কিন্তু ছোট করে লিখা ভালো আর সেটা সঠিক নাম দিয়ে ব্যবহার করা ভালো কারন এতে প্রোগ্রামিং করতে সুবিধা হবে । যেমন, টাকার হিসাবের জন্য  float money;



ভেরিয়েবল

সহজ কথায় ভেরিয়েবল হল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের এমন একটি উপাদান যা প্রোগ্রামের ডাটা সংরক্ষন করে তা নিয়ে কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয় ।
যেমন,

int money;
এখানে money হল ভেরিয়েবল

উদাহরন;
int money = 5

অর্থাৎ এখানে money এর ভেলু হল 5

ভেরিয়েবল লিখার নিয়ম
১) যেকোনো বড় হাতের অথবা ছোট হাতের ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করা যাবে । যেমন, Taka, TAKA, TaKa, taka, takA
২) নাম্বার ব্যাবহার করতে চাইলে তা যেকোনো ইংরেজী শব্দের পরে লিখতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে, নাম্বার ব্যাবহার করতে চাইলে কখনোই ইংরেজী শব্দের আগে লিখা যাবে না । যেমন,
সঠিক - Taka2
ভুল - 2Taka
৩) ২ শব্দের কোনো আইডেন্টিফিয়ার লিখতে চাইলে অবশ্যই দুই শব্দের মাঝখানে UnderScore ( _ ) চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে । যেমন, Bank_load
৪) আইডেন্টিফিয়ারের কোনো নিদিষ্ট লেন্থ নেই, ইচ্ছা মত করে বড় অথবা ছোট করে লিখা যায় কিন্তু ছোট করে লিখা ভালো আর সেটা সঠিক নাম দিয়ে ব্যবহার করা ভালো কারন এতে প্রোগ্রামিং করতে সুবিধা হবে । যেমন, টাকার হিসাবের জন্য  float money;



Monday 5 January 2015

কম্পাইলার ইন্সটল

কম্পাইলার প্রথমে ডাউনলোড করে তারপর কম্পাইলারের উপর ডাবল ক্লিক করতে হবে

 তাহলে একটা পপ আপ স্ক্রিন আসবে যে ইন্সটল করতে চান কিনা , তারপর আপনি YES বাটনে কিক করবেন তারপর আরো একটি স্ক্রিন আসবে সেখানে আপনি NEXT ক্লিক করবেন

 তারপর I Agree তে ক্লিক করুন

 তারপর NEXT

তারপর ইন্সটল বাটনে ক্লিক করে কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন
তারপর একটি পপ আপ স্ক্রিন আসবে সেখান লিখা থাকবে আপনি সফটওয়্যারটা রান করাতে চান কিনা । আপনি YES বাটনে ক্লিক করুন


তারপর NEXT বাটনে ক্লিক করুন



তারপর সবশেষে FINISH বাটনে ক্লিক করে ইন্সটলেশন শেষ করুন ।
তাহলে আপনার কম্পাইলার একদম রেডি আপনার জন্য । 

কিন্তু মাঝে মাঝে কম্পাইলারে ঠিক ভাবে কাজ করেনা । তাই উপর থেকে Settings বাটনে ক্লিক করে Compiler এ ক্লিক করুন

তারপর Reset Defaults এ ক্লিক করুন 

তারপর OK তে ক্লিক করুন


তারপর লিখা আসবে Are you Sure ? আপনি YES এ ক্লিক করুন

তারপর OK তে ক্লিক করুন
তারপর আবার Ok ক্লিক করুন


এখন আপনার কম্পাইলার একদম  রেডি J